নতুন ফোন চার্জ করার নিয়ম


নতুন মোবাইল ফোন কিনে প্রথমবার ব্যবহারের আগেই আট ঘন্টা চার্জে বসিয়ে রাখতে হয়, এটা এক সময়ের প্রচলন ছিল। তখনকার সময় আমাদের Gadgets-গুলোতে Nickel Cadmium Battery অথবা Nickel Metal Hydride Battery ব্যবহার করা হতো। ঐ সময়গুলোতে আমাদের মোবাইলগুলো ৬০% চার্জ হওয়ার পরই আমরা ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু তাও মানুষজন নিজেদের মনে মাধুরী মিশিয়ে নিজেরাই অনেক নিয়ম জুড়ে দিয়েছিল যেমন মোবাইল বন্ধ করে চার্জ দেওয়া অথবা ১০০% চার্জ হলে ব্যবহার করা। আর সেই নতুন ব্যাটারিটি ১০০% চার্জ হতে সময় নিতে পাঁচ থেকে ছয় উর্ধ্বে সাত ঘন্টা। কিন্তু তারপরও আমরা আরো একটু নিশ্চিত হতে আট ঘন্টা পর্যন্ত চার্জ দিয়ে নিশ্চিত হই। কেউর পক্ষে তো আর চার্জে লাগিয়ে সম্পূর্ণ চার্জ হওয়া অবধি সমানে বসে থাকাটা সম্ভব নাহ। তাই এটা একটা ঘোরামিতে রুপ নিয়েছে আর আট ঘণ্টা হয়ে আমাদের কানে গেঁথে গেছে।

আসল কথায় আসি কেন এমনটা হতো? কেন নূন্যতম ৬০% চার্জই বাধ্যতামূলক ছিল সেটার আসল কারনটা হলো “Memory Effect” বা “Battery Effect”। আসলে Nickel Cadmium Battery অথবা Nickel Metal Hydride Battery-তে এই Effect-এর জন্যে বেশী চার্জ ধারণ করে রাখতে পারে না। সাধারণত মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি হয়ে থাকে এই “Memory Effect” এর জন্যে। আর এই সমস্যাটি তখনই হতো যখন Nickel Cadmium Battery অথবা Nickel Metal Hydride Battery-গুলোতে ৬০% চার্জের আগেই ব্যবহার করা হতো অথবা বারবার চার্জে দেয়া হতো।

এখনকার ব্যাটারিগুলো হলো লিথিয়ামের যাদের Li-Ion অথবা Li-PO বলি হয়। এ ধরনের ব্যাটারির “Memory Effect” নেই। তাই তাদের চার্জ করার বেলায় এ ধরনের কোন নিয়ম না মানলেও চলবো। আপনি চার্জে না বসিয়েও ব্যবহার করলে এধরনের ব্যাটারিতে কোন সমস্যা হবে নাহ্।

তবে একটা সাধারণ সীমাবদ্ধতা আছে লিথিয়াম ব্যাটারিগুলোতে। সেটি হলো চার্জ যখন ১০% তখন আপনি আপনার ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে আর যখন আপনার ব্যাটারি ৪০% এর নিচে চলে আসবে তখন আপনি চার্জে বসিয়ে দিবেন। আরও একটি কথা, আপনি যদি চার্জ বসিয়ে বসিয়ে আপনি ফোন ব্যবহার করেন তাহলে সেটি বিপজ্জনক ও বোকামিও বটে। বিপজ্জনক কারন মোবাইলের তেজস্ক্রিয়তার হার তখন বিপুল মাত্রায় বেড়ে যায় আর বোকামি কারন একটা দুই মুখ খোলা পাইপের এক দিয়ে পানি ঢালা হলে তার অন্যদিক দিয়ে তো পানি বের হয়েই যাবে। আপনি যদি তখন চিন্তা করেন একটা সময় পাইপটাতো ভরেই যাবে, সেটা কী বোকামি না। চার্জ আর ডিসচার্জ একসাথে হলে কোন কিছুই তো স্টোর হওয়া সম্ভব নাহ্।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *