মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে ধারণা ও কিছু শর্টকার্ট কি

Microsoft Excel কি কি করা যাই তা বলে শেষ করা যাবে না, আপনারা অনেকেই এক্সেল সম্পর্কে জানেন তাই বেশি কিছু বললাম না। (যারা এক্সেল সম্পর্কে আরো জানতে চান তাহলে এই ব্লগ টি পড়া শুরু করে দিন। আর যদি নতুন কাজ শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পারেন এখান থেকে)
 মাইক্রোসফট এক্সেল কি?
মাইক্রোসফট এক্সেল একটি হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম। কম্পিউটারে ভিজ্যুয়ালী হিসাব-নিকাশ করার জন্য এই প্রোগ্রামটির জুড়ি নেই। এর গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস সহজ হওয়ার কারণে যে কেউ এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের তৈরিকৃত একটি স্প্রেডশীট বিশেষণধর্মী প্রোগ্রাম। স্প্রেড শব্দের অর্থ ছড়ানো এবং শীট অর্থ হল পাতা। মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করে বিভিন্ন জটিল/সরল গাণিতিক ও পরিসংখ্যান করা যায়। সুতরাং স্প্রেডশীট শব্দের অর্থ ছড়ানো পাতা। এক্সেলের ফাইলকে ওয়ার্কবুক বলা হয়। প্রতিটি ওয়ার্কবুক কতগুলো শীটের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি ওয়ার্কশীটে আবার ২৫৬ টি কলাম এবং ৬৫৫৩৬ টি রো থাকে। রো গুলো ১,২,৩,৪….. নামে এবং কলামগুলো A, B, C, AB, AC……নামে পরিচিত। কলাম এবং রো এর সমন্বয়ে গঠিত প্রতিটি ঘরকে এক একটি সেল বলা হয়।
মাইক্রোসফট এক্সেলের সাহায্যে আপনি যা যা করতে পারবেন:
@ বিভিন্ন সরল ও জটিল হিসাব করা।
@ বেতনবিল ও অন্যান্য হিসাব করা।
@ চার্ট ও গ্রাফ করে পরিসংখ্যান করা।
@ একসাথে এবং দ্রুত অনেক হিসাব করা।
@ রেজাল্ট, স্যালারি ও অন্যান্য শিট করা।
প্রাথমিক ধারণাঃ
স্টার্ট মেন্যু থেকে মাইক্রোসফট এক্সেলে প্রবেশ করলে ডিফল্টভাবে রো ও কলামের সবন্বয়ে একটি ঘরকাটা পেজ ওপেন হবে। রো গুলো ১,২,৩,৪….. নামে এবং কলামগুলো A, B, C, AB, AC……নামে পরিচিত। প্রতিটি ঘরকে এক একটি সেল বলে। এই সেলের প্রত্যেকটির একটি করে নাম আছে। নামগুলো দেখতে হলে নেমবক্স এ দেখতে হবে অথবা সারির উপরের কলামের নাম এবং তার রো এর নাম দেখতে হবে। যেমন ছবিটির সেলটির নাম C5 কারণ এটি C এবং 5 কে নির্দেশ করছে।
এক সেল থেকে অন্য সেলে যেতে হলে কিবোর্ডের অ্যারো কি ব্যবহার করতে হবে। কিবোর্ডের সাহায্যে খুব সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায়। সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
এক্সেলে চার্টের ব্যবহারের টিউটোরিয়াল
এই পদ্ধতিতে যে কোন তথ্যের চার্ট করে পরিসংখ্যান করা যায়। এজন্য প্রথমে রো এবং কলামে কোন তথ্য লিখতে হয় কলামে। তারপর সেটি সিলেক্ট বা ব্লক করে Insert থেকে Chart এ ক্লিক করতে হবে। এখানে বিভিন্ন প্রকার চার্টের গ্যালারি আসবে। পছন্দমত একটি চার্ট বেছে নিয়ে Next করে Finish করতে হবে। তাহলে চার্ট চলে আসবে। চার্ট এরিয়াতে ক্লিক করে সিলেক্ট করে নিয়ে এর বিভিন্ন কালার পরিবর্তন করা যায়।
উল্লেখ্য একবার চার্ট তৈরি করে ডাটা পরিবর্তন করলে চার্ট অটো পরিবর্তন হয়। বিভিন্ন পরিসংখ্যান করার জন্য এটি খুবই জরুরী। বিভিন্ন রকম চার্ট ব্যবহার করে আপনার ওয়ার্কবুককে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
এক্সেল বই এমএস এক্সেল টিউটোরিয়াল এক্সেল সূত্র এক্সেল টিপস
MS Excel Bangla tips excel 2010 tutorials মাইক্রোসফট অফিস টিউটোরিয়াল
এমএস এক্সেল সহজে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা, সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন, গড় হিসাব করা :
যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা, সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন, গড় ইত্যাদি যেকোন Function এর কাজ করার জন্য Function মেনুর Insert Function আইকনের উপর ক্লিক করলে অথবা কিবোর্ড এর Shift+F3 প্রেস করার পর Insert Function Dialog Box আসবে। উক্ত Dialog Box এর মাধ্যমে সব ধরনের Function এর কাজ সম্পাদন করা যায়। আবার কিবোর্ড ব্যবহার করেও উক্ত কাজগুলো করা যায়।
যোগঃ
যে সেলের ভিতর যোগ ফল করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে প্রথমে Equal ) চিহ্ন দিয়ে SUM(Start Cell Name:End Cell Name) লিখে Enter দিতে হবে। এছাড়া বিচ্ছিন্ন কিছু সেল যোগ করতে চাইলে প্রথমে Equal ) চিহ্ন দিয়ে Cell Name + Cell Name + Cell Name লিখে (যেমন- =D4+E7+G7) Enter দিতে হবে।
বিয়োগঃ
অনুরূপভাবে যে সেলের ভিতর বিয়োগ ফল করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে প্রথমে Equal ) চিহ্ন দিয়ে Cell Name – Cell Name লিখে (যেমন- =D4-E7) Enter দিতে হবে।
গুণঃ
যে সেলের ভিতর গুণ ফল করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে প্রথমে Equal ) চিহ্ন দিয়ে Cell Name * Cell Name লিখে (যেমন- =D10*E11) Enter দিতে হবে।
ভাগঃ
যে সেলের ভিতর ভাগ ফল করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে প্রথমে Equal ) চিহ্ন দিয়ে Cell Name / Cell Name লিখে (যেমন- =D20/E20) Enter দিতে হবে।
যোগ বিয়োগঃ
যদি যোগ বিয়োগ একসাথে করতে চাই তাহলে যে সেলের ভিতর ফলাফলটি আনতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে প্রথমে Equal ) চিহ্ন দিয়ে Cell Name এর আগে + অথবা – চিহ্ন দিয়ে প্রয়োজনমত লিখে (যেমন- =+D20-E20+F20) Enter দিতে হবে।
গড়ঃ যে সেলের ভিতর গড় করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে =Average(Start Cell Name:End Cell Name) লিখে Enter দিতে হবে।
বড় সংখ্যাঃ
যে সেলে বড় সংখ্যা বের করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে =MAX(Start Cell Name:End Cell Name) লিখে Enter দিতে হবে।
ছোট সংখ্যাঃ
যে সেলে ছোট সংখ্যা বের করতে চাই কার্সর সেই সেলে রেখে =MIN(Start Cell Name:End Cell Name) লিখে Enter দিতে হবে।
এম এস এক্সেল টিউটোরিয়াল
এক্সেল দ্বারা গ্রুপ করা!
আপনার ধরেন একটা এক্সেল সিট আছে যার মাঝে আপনি প্রতিদিনই বিভিন্ন আইটেম দিয়ে ডেটা এন্টি দিচ্ছেন। এখন আপনার দরকার প্রতিটি আইটেম এর গ্রুপ তৈরি করা এবং আইটেম গুলোর যোগফল ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বাহির করা। আপনার যদি ডেটা হাজার খানেক হয়ে থাকে এবং আইটেমের এন্টি যদি এলোমেলো ভাবে থাকে তাহলে আপনার মাথার চুল অটোমেটিক আমার মতো পেকে যেতে পারে। আপনি এক্সেল ২০০৭ এ এ্ই কাজটি মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই করতে পারেন। আসুন কি ভাবে করবেন তা দেখা যাক।
আপনার সিটটি যদি এরকম হয় তাহলে এখন আপনাকে এবার আইটেম আইটেম সব ডেটা ভিন্ন করতে হবে এবং সবগুলো আইটেমের ফাইনাল কষ্ট বাহির করতে হবে। এ জন্য আপনি সকল ডেটা সিলেট করে গ্রুপ এ ক্লিক করেনঃ
আপনার কাছে এখানে জিজ্ঞাসা করছে আপনি গ্রুপ কি দিয়ে করবেন Row নাকি Colums এ। আপনি যেহেতু Row গ্রুপ করবো তাই রো সিলেট করে ওকে করুন। এবার প্রতিটি আইটেম সিলেট করে গ্রুপ করুন। তবে প্রতিটি আইটেমের লাস্টিরটি বাদ দিয়ে সিলেট করবেন। যেমন: আপনার যদি Flour আইটেম থাকে চারটা তাহলে আপনি তিনটা সিলেট করে গ্রুপ করবেন।
এবার আপনার সকল গ্রুপ করা সমাপ্ত হয়েছে। এখন কাজ হলো গ্রুপ ওয়াইজ সাব টোটাল এবং গ্রস টোটাল বাহির করা। এজন্য আপনি Subtotal এ ক্লিক করুন। আপনার কাছে একটি ফর্ম আসবে। আপনি Use Function এ Sum দিয়ে ওকে করুন।
দেখুন আপনার সকল সাব টোটাল এবং গ্রুস টোটাল চলে এসেছে আইটেম অনুযায়ী।
এম এস এক্সেল টিউটোরিয়াল
জেনে নিন এক্সেল এ করা কোন ডাটা এম.এস. ওয়ার্ডে লিংক করা থাকলে তা অটোমেটিক আপডেট করার উপায়
এবার শুরু করা Tableযাক। আজ আমি দেখাবো এক্সেল এ করা কোন ডাটা এম.এস. ওয়ার্ডে কপি করা থাকলে তা অটোমেটিক আপডেট করে নেয়। যেমন আপনি নিচের মত করে একটি টেবিল বানান বা আপনার পছন্দ মত।
এরপর টেবিল বা আপনার যে অংশটুকু লাগবে তা সিলেক্ট করে কপি করুন। এবং অফিস 2007 হলে নিচের ছবির মত ক্লিক করুন আর না হলে Edit এ ক্লিক Past Special এ ক্লিক করুন।
Ok করে বের হয়ে আসুন। এর পর যখন-ই আপনি কোনো ডাটা এক্সেলে চেঞ্জ করবেন তা আর আপনাকে এম. এস. ওয়ার্ডে চেঞ্জ করতে হবে না। দেখবেন অটোমেটিক এম.এস. ওয়ার্ডের ডাটা চেঞ্জ হয়ে গেছে। আজকে এই পযর্ন্ত। ভালো থাকেবন সবাই। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এক্সেলের শর্টকাট কি ::
এমএস এক্সেলে কিছু কিছু বিশেষ নির্দেশের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করা সম্ভব। ব্যস্ততার মুহূর্তে সময় বাঁচাতে শর্টকার্ট কি ব্যবহার করা ভালো। নিচে এক্সেলের বিভিন্ন কাজের শর্টকাট কি দেওয়া হলো।
অ্যারো কি: ডানে, বামে, ওপরে এবং নিচে কারসর নাড়াতে।
Ctrl+Arrow : ডানে, বামে, ওপরে এবং নিচে লেখার শেষে কারসর যাবে।
Ctrl+Home : ফিল্ড বা লেখার শুরুতে কারসর।
Ctrl+End : ফিল্ড বা লেখার শেষে কারসর।
Ctrl+Page Up : আগের পৃষ্ঠা বা ওয়ার্কশিটে যাওয়া।
Ctrl+Page Down : পরের পৃষ্ঠা বা ওয়ার্কশিটে যাওয়া।
Atl+Page Up : ডকুমেন্টের প্রথম কলামে অবস্থান করা।
Atl+Page Down : ডকুমেন্টের শেষ কলামে অবস্থান করা।
Atl+Enter : ফিল্ডে কারসর রেখে দুই ক্লিকের মাধ্যমে পরের লাইন তৈরি করা।
Shift+TAB : পেছনের ফিল্ড থেকে প্রথম ফিল্ডে একেক করে যাওয়া।
Ctrl+1 : ফন্ট, বর্ডার, নম্বর ইত্যাদির পরিবর্তন করা।
Ctrl+2 : ফন্ট বোল্ড করা।
Ctrl+3 : লেখাকে ইটালিক করা।
Ctrl+4 : লেখা আন্ডারলাইন করা।
Ctrl+5 : লেখার মাঝখান বরাবর কাটা দাগ (স্ট্রাইক থ্রু)।
Ctrl+7 : স্ট্যান্ডার্ড টুলবার সরিয়ে দেওয়া।
Ctrl+9 : কারসর যে ফিল্ডে আছে, তা মুছে ফেলা (রো ডিলিট)।
Ctrl+0 : কলাম ডিলিট।
Atl+F1 : ওয়ার্কশিটের সঙ্গে চার্টশিট যুক্ত করা।
Atl+F2 : সেভ অ্যাজ।
Ctrl+F3 : ডিফাইন ডায়ালগ বক্স খোলা।
Ctrl+F4 : ফাইল বন্ধ করা।
Ctrl+F5 : ফাইল নামসহ আদালা উইন্ডো।
Ctrl+F8 : ম্যাক্রো তৈরির জন্য ডায়লগ বক্স খোলা।
Ctrl+F9 : ফাইল মিনিমাইজ করা।
Ctrl+F10 : ফাইল নামসহ আলাদা ইউন্ডো।
Ctrl+F11: ওয়ার্কশিটের সঙ্গে ম্যাকরো শিট যুক্ত করা।
Ctrl+F12 : ওপেন ডায়ালগ বক্স।
এম এস এক্সেল টিউটোরিয়াল দেখুন আমার ইউটিউব চ্যানেলে ।
আর কিছু প্যাকটিস ফাইল ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে – ক্লিক করুন ডাউনলোডের জন্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *